বাউফলে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বাল্য বিয়ে

বাউফলে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বাল্য বিয়ে

দেলোয়ার হোসেন, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে বিয়ের বয়স না হওয়ায় ভূয়া জন্ম নিবন্ধন ও  জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বাল্য বিয়ে পড়নোর অভিযোগ পাওয়া গেছে দাশপাড়া ইউনিয়নের কাজী মোঃ ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে,মেয়ের বয়স ১৫ আর ছেলে বয়স ১৮। দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এমন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ের বানানো ভূয়া জন্ম নিবন্ধন ও  জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বাল্য বিয়ে পড়ান কাজী। তবে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধীকরন)আইনানুযায়ী রেজিস্ট্রার খাতায় তালিকাভুক্ত করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি।সাদা কাগজে লিখেই বিয়ে কার্য সম্পন্ন করেন কাজী। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাশপাড়া ইউনিয়নের মুসলিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে ।   
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামের স্কুল পড়–য়া এক শিক্ষার্থীর সাথে দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুর বাড়িয়া গ্রামের মো. ছালাম হোসেনের ছেলে মো. জিয়ার বিয়ে কথা-বার্তা হয়। ছেলে মেয়ের বয়স না হওয়ায় বিয়ে দিতে আপত্তি দেন উভয় পক্ষ। পরে কাজী মো. ফারুক হোসেনের পরামর্শ মতে কম্পিউটার দিয়ে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র বানানো হয়। সেই জন্ম নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দিয়ে বিয়ের আয়োজন করেন কাজী। তবে বিয়ে রেজিস্ট্রারভুক্ত করা হয় নি। সাদাকাগজে লিয়েই বিয়ে সম্পন্ন করেন তিনি।বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য কাজীকে দিয়ে হয় অতিরিক্ত টাকা।
সরেজমিনে মিলে সত্যতা। দেখা যায় কাজী ফারুক হোসেন দাশপাড়া মুসলিম পাড়া এলাকায় তাঁর বাস ভবনে বসে  বিয়ে পড়ানোর কাজ করছেন। মেয়ে-ছেলে ও স্বাক্ষীদের নাম লিখে রাখছেন সাদা কাগজে। গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে মুহুর্তেই পালিয়ে যায় ছেলে-মেয়ে পক্ষ।
উপজেলার কয়েকজন কাজী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,‘বয়স সংক্রান্ত জামেলা থাকলে আমরা বিয়ে পড়াই না। কিন্তু কাজী ফারুক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্য বিয়ে পড়ান।  
তবে বিয়ে পড়ানোর কথা অস্বীকার করে কাজী ফারুক হোসেন বলেন,‘ছেলে মেয়ের নাম-ঠিকানা খাতায় লিখে রাখছি মাত্র।   
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আল-আমিন বলেন,‘ খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।